খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় সদ্য খনন করা আড়ুয়া দোয়ানী খালে অবৈধ দখল দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালটির একাধিক স্থানে বাঁধ দিয়ে কয়েকটি অংশ তৈরি করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় রয়েছে এলাকাবাসী। তাছাড়া খালের পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে দেয়া হয় না এমনও অভিযোগ রয়েছে দখলদারদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নে বিলপাবলা মৌজাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাল হাতুড়ী দোয়ানী। ২০২০-২১ অর্থ বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার সরকারি টাকায় মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খালটি খনন হয়। খনন হওয়ার পর শহর এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি খালটি অবৈধ দখলে নিয়ে কয়েকটি স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে।
কৃষক শহীদ মুন্সি ও লিয়াকত সরদার জানান, খাল খনন হওয়ায় উপকারের চেয়ে এখন ক্ষতির দিকটা বেশি হয়েছে। যারা খাল দখল করছে তারা খালপাড়ে লাগানো আমাদের ফসল জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ভেবেছিলাম এবার খালের পানি দিয়ে বোরো আবাদ করবো। কিন্তু ওরা (খাল দখলদাররা) খালের পানি নিতে দেয়নি।
পড়ুন: ঈদকে সামনে রেখে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় বিশেষ কর্মযজ্ঞ
ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম বলেন, মৎস্য দপ্তর খালটি খনন করার পরপরই বয়রা এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি যে যার মত খালে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। কৃষকদের অভিযোগ আছে, দখলদাররা খাল থেকে কৃষিকাজে পানি দেয়নি। বিষয়টি আমি এসিল্যান্ডকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
তিনি বলেন, অবিলম্বে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা না হলে বিলপাবলা বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দেবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক বলেন, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় খুলনা ইউনানী মেডিকেল কলেজ থেকে সাঈদ ঢালীর আম বাগান পর্যন্ত হাতুড়ি দোয়ানী খালটি গত বছর পুনঃখনন করা হয়। খালে স্থানীয় কৃষকদের মাছ চাষাবাদের কথা থাকলেও শহরকেন্দ্রিক কিছু লোক খালটি দখল করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুনুর রশীদ জানান, সরকারি খালে অবৈধ বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ চাষের কোন সুযোগ নেই। দ্রুত খালে অভিযানে যাব। অবৈধ ওইসব বাঁধ উচ্ছেদসহ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পড়ুন: খুলনাঞ্চলের বোরো ধানে পোকার আক্রমণ: লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা